সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
মুলাদী প্রতিনিধি॥ মুলাদীতে বাহাদুরপুর ফজলুর রহিম শরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলামের অনিয়মের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে অবৈধভাবে এডহক কমিটি গঠন করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মো. সাইদুর রহমান পলাশ শরীফ। বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি বাতিল এবং নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে পলাশ শরীফ আদালতে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় গত ১২ জুলাই এডহক কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ ৪জনকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত। তবে প্রধান শিক্ষক এডহক কমিটি গঠনে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, বাহাদুরপুর ফজলুর রহিম শরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেননি। পরে তড়িঘড়ি করে এডহক কমিটি গঠন করতে চান। মুলাদী-বাবুগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে সাইদুর রহমান পলাশের নামে ডিও লেটার দেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেই ডিও লেটার গোপন করে স্থানীয় এম.এ কাইউম হাওলাদারকে সভাপতি প্রস্তাব দিয়ে শিক্ষাবোর্ডে কাগজপত্র প্রেরণ করেন। শিক্ষাবোর্ড এম.এ কাইউম হাওলাদারকে সভাপতি করে এডহক কমিটি অনুমোদ দেয়।
সাইদুর রহমান পলাশ শরীফ জানান, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিয়মকে আড়াল করতে এমপির ডিও লেটার গোপন করে দাতা সদস্য, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবকদের না জানিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটির সহায়তায় নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত ৮ জুন তফসিল ঘোষণা করেছিলেন। অবৈধ ভাবে গঠিত এডহক কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে তাদেরকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ দেন বিচারক।
এব্যাপারে নির্বাচন প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আদালতের নোটিশ পেয়েছি। বিধি মোতাবেক জবাব দেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, আদালতের নিস্পত্তির আগে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন করা হলে পরবর্তীতে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই।
Leave a Reply